সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে ধর্ষণে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে এক গৃহপরিচারিকা। প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এক কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
পরে বয়ান বদলে বাড়িওয়ালাকে অভিযুক্ত করে এফিডেভিট (হলফনামা) করে ওই গৃহপরিচারিকা।প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান দুধা মিয়ার বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করত ওই কিশোরী। এ সময় সে অন্তঃসত্ত্বা হয়।বিষয়টি জানাজানি হলে ১৮ মে রাঙ্গাবালী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে ওই কিশোরী। ওই মামলায় হাবিবুর রহমানের ভাড়াটিয়া খলিল দালালের ছেলে প্রান্ত দালালকে (১৫) আসামি করা হয়। মামলায় কিশোরীর অভিযোগ,
গত বছরের ১ নভেম্বর জোরপূর্বক প্রান্ত দালাল তাকে ধর্ষণ করে। পরে পুনরায় বেশ কয়েক দিন ধর্ষণ করে। কিন্তু বয়ান বদলে ২ জুন পটুয়াখালী নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিট করেন কিশোরী। এফিডেভিটে ওই কিশোরী উল্লেখ করেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাবিবুর রহমান (বাড়িওয়ালা) তাকে ধর্ষণ করে।
আরও উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ১৮ মে হাবিবুর রহমান কৌশলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় তার। পরে সে জানতে পারে, তাকে বাদী করে প্রান্ত দালালকে ধর্ষণ মামলার আসামি করা হয়। ধর্ষিত কিশোরী বলেন, হাবিবুর প্রথমে তার (ভিকটিম) মামা বাবু বাঙালি, পরে খলিল দালারের (ভাড়াটিয়া) নাম থানায় বলতে বলে।কিন্তু বাবার বয়সী খলিলের নামে এমন মিথ্যা কথা বলবে না বিধায় তিনি অন্য কৌশল করেন। খলিলের ছেলে প্রান্তর বয়স কম, তাই মামলা হবে না ভেবে ওর নাম থানায় বলে।
ধর্ষণ মামলার আসামি প্রান্ত দালালের বাবা খলিল দালাল বলেন, ‘করোনার কারণে স্কুল বন্ধ। তাই ছেলেকে নিয়ে দুই মাস আগে হাবিবুর রহমানের ভাড়া বাসা ছেড়ে নিজের বাড়ি চলে আসি।
চক্রান্ত করে আমার ছেলেকে আসামি করা হয়। সব অস্বীকার করে এফিডেভিটে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান দুধা বলেন, ও (ভিকটিম) একেক সময় একেকজনের কথা বলে। ৬৮ বছর বয়সে আমি এ কাজ করতে পারি না, সব মিথ্যা। রাঙ্গাবালী থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, মেয়ের বক্তব্যের ভিডিও আমাদের কাছে আছে। পরে এসে এজাহার দিয়েছে। ওই এফিডেভিটে কাজ হবে না। মামলা তদন্তাধীন। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।